naihati R.B.C. road W.B pin 743165 india naihati stayson Naihati West Bengal India - 743165
Want to know more about us
Fill in your details and we will get in touch at our earliest convenienceমাসরুম
মাশরুমে খনিজ পদার্থের পরিমান মাছ ও মাংসের তুলনায় বেশী এবং প্রচলিত সবজীর তুলনায় প্রায় দ্বিগুন। বিভিন্ন রান্নায় মাশরুম ব্যবহার করা হয়। বর্তমানে চাইনিজ রেস্টুরেন্ট গুলোতে চিকেন বিরিয়ানি রান্নাতে মাশরুম ব্যবহার করা হয় স্বাদ বাড়ানোর জন্য। মাশরুমে থাকা আমিষের পরিমান আলু থেকে দ্বিগুন, টমেটো থেকে চারগুন এবং কমলা লেবুর থেকে ছয়গুন বেশী। পুষ্টির বিচারে মাশরুম নিঃসন্দেহে সবার সেরা। কারণ আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেসব উপাদান অতি প্রয়োজনীয় যেমন – প্রোটিন, ভিটামিন ও মিনারেল সেগুলো মাশরুমে উচ্চ মাত্রায় আছে। অন্যদিকে যেসব খাদ্য উপাদানের আধিক্য আমাদেরকে জটিল ব্যাধীর দিকে নিয়ে যায়,যেমন - ফ্যাট ও কার্বোহাইড্রেড তা মাশরুমে নেই বললেই চলে। প্রতি ১০০ গ্রাম শুকনা মাশরুমে পাওয়া যায়। আমিষ ২৫-৩৫ গ্রাম,ভিটামিন ও মিনারেল ৫৭-৬০ গ্রাম,শর্করা ৫-৬ গ্রাম,চর্বি ৪-৬ গ্রাম। মাশরুমে থাকা প্রোটিন অত্যন্ত উন্নত। একটি সম্পূর্ণ প্রোটিনের পূর্বশর্ত হলো মানব দেহের অত্যাবশ্যকীয় ৯টি এমাইনো এসিডের উপস্থিতি। মাশরুমে অপরিহার্য এ ৯টি এমাইনো এসিডই প্রশংসনীয় মাত্রায় আছে। অন্যান্য প্রাণীজ আমিষ যেমন-মাছ,মাংস,ডিমের আমিষ উন্নতমানের হলেও তার সঙ্গে সম্পৃক্ত চর্বি থাকায় তা গ্রহণে দেহে কোলেস্টরল সমস্যা দেখা দেয়। যার ফলে উচ্চ রক্তচাপ,হৃদরোগ,মেদভুড়ি ইত্যাদি জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। পক্ষান্তরে মাশরুমের প্রোটিন নির্দোষ। তাছাড়াও প্রোটিনের বিপরীতে ফ্যাট এবং কার্বোহাইড্রেটের সর্বনিম্ন উপস্থিতি এবং কোলেস্টরল ভাঙ্গার উপাদান লোভাস্টাটিন, এন্টাডেনিন, ইরিটাডেনিন ও নায়াসিন থাকায় কোলেস্টরল জমার ভয় থাকে না। এ কারণে প্রোটিনের অন্যান্য সব উৎসের তুলনায় মাশরুমের প্রোটিন সর্বোৎকৃষ্ট।
> মাশরুম খাওয়ার ১৮ টি উপকারিতা
মাশরুমে প্রচুর প্রোটিন, খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন আছে। তাই খাদ্য হিসেবে এটা খুবই পুষ্টিকর।
১। মাশরুমে চর্বি ও শর্করা কম এবং আঁশ রক্তে চিনির সমতা রক্ষা করে ফলে ডায়াবেটিক রোগী এবং যারা স্থুল বা স্বাস্থ্যবান তাদের জন্য উপযুক্ত খাবার।
মেদ ভুরি কমানোর উপায় হিসাবে মাশরুম খুবই কার্যকারী।
২। মাশরুম দেহের ক্ষয়পূরণ, হাড় গঠন ও দাঁত মজবুত করে।
৩। রক্তহীনতা, বেরিবোধ, হৃদরোগ, ক্যান্সার প্রতিরোধ করে।
৪। আমাশয় নিরাময় করতে মাশরুম খুব ভালো কাজ করে।
৫। মাশরুমে নিউক্লিক এসিড ও এন্টি এলার্জেন থাকায় এবং সোডিয়ামের পরিমাণ কম থাকায় কিডনি রোগ ও এলার্জি রোগের প্রতিরোধক।
৬। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
৭। মাশরুমে প্রচুর ক্যালসিয়াম , ফসফরাস ও ভিটামিন ডি আছে। যা শিশুদের দাঁত ও হাড় গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
৮। মাশরুমে আছে প্রচুর ফলিক এসিড ও লৌহ , যা রক্তশূন্যতা দূর করে।
৯। মাশরুমে ট্রাইটারপিন থাকায় এটা বিশ্বে এইডস প্রতিরোধে ব্যবহৃত হচ্ছে।
১০। মাশরুমে এডিনোসিন থাকায় ডেঙ্গুজ্বরের প্রতিরোধক।
১১। মাশরুমে আছে এনজাইম ,যা হজমে সহায়ক ও পেটের পীড়া দূর করে।
১২। মাশরুমে আছে নিউক্লিক এসিড ও অ্যানটি-এলারজেন যা কিডনি রোগ প্রতিরোধক।
১৩। মাশরুমে আমিষ, শর্করা, চর্বি, ভিটামিন ও মিনারেল এমন সম্বনিতভাবে আছে যা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। ফলে গর্ভবতী মা ও শিশু নিয়মিত মাশরুম খেলে দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
১৪। রক্তের কোলেষ্টেরল কমানোর অন্যতম উপাদান ‘ইরিটাডেনিন’ ‘লোবাষ্টটিন’ এবং ‘এনটাডেনিন’ মাশরুমে থাকায় এটি হৃদরোগ ও উচ্চ রক্তচাপ নিরাময় করে ।
১৫। লিংকজাই-৮ নামক পদার্থ থাকায় মাশরুম,হেপাটাইটিস-বি জন্ডিস প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে।
১৬। মাশরুমের বেটা-ডি, গ্লুকেন, ল্যাম্পট্রোল, টারপিনওয়েড এবং বেনজোপাইরিন ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধক।
১৭। মাশরুমে সালফার সরবরাহকারী এমাইনো এসিড থাকায় তা চুল পড়া ও চুল পাকা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মাথায় নতুন চুল গজানোর উপায় হিসাবে কার্যকারী।
১৮। মাশরুমে স্ফিংগলিপিড এবং ভিটামিন-১২ বেশি থাকায় স্নায়ুতন্ত্র ও স্পাইনাল কর্ড সুস্থ্য রাখে। তাই মাশরুম খেলে হাইপার টেনশন দূর হয় এবং মেরুদণ্ড দৃঢ় থাকে।
This site was designed with Websites.co.in - Website Builder
This website was created by a user of Websites.co.in, a free instant website builder. Websites.co.in does NOT endorse, verify, or guarantee the accuracy, safety, or legality of this site's content, products, or services. Always exercise caution—do not share sensitive data or make payments without independent verification. Report suspicious activity by clicking the report abuse below.